সুনামগঞ্জ , রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ , ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল সুনামগঞ্জ সমিতি সিলেটের ইফতার মাহফিলে সুবিপ্রবি উপাচার্য মধ্যনগরে গ্রাম পুলিশ সদস্যকে মারধর, বেত্রাঘাত স্বস্তি ফিরছে নিত্যপণ্যের বাজারে সুরমা নদী যেন ভাগাড় হাওরের মাঝ দিয়ে অপ্রয়োজনীয় বাঁধ! নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন জামালগঞ্জে যুবদলের দোয়া ও ইফতার মাহফিল সলুকাবাদ ইউনিয়নে অ্যাড. নূরুল ইসলামের সমর্থনে ইফতার মাহফিল ‘রিকসা যার লাইসেন্স তার’ নীতি অবলম্বন করুন বিএনপি কোনো ভাইয়ের স্বার্থের জন্য ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতি করতে পারে না বাংলাদেশ ব্যাংকে শরিয়াহ বোর্ড প্রতিষ্ঠা করতে রুল প্রয়োজনীয় স্থানে প্রকল্প দেয়নি পাউবো ঝুঁকিতে ছায়ার হাওরের ফসল আমাদেরকে দায়িত্ব পালন করতে না দিলে সমাজটাই শেষ হয়ে যাবে : আইজিপি প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ, ফেরার পথে যুবক আটক এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনে রাখার দাবিতে মানববন্ধন দুর্ঘটনার ঝুঁকি, যাত্রীবাহী বাসে ভারী পণ্য পরিবহন! ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষের দাবি প্রত্যাখ্যান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

সুরমা নদী যেন ভাগাড়

  • আপলোড সময় : ১৬-০৩-২০২৫ ১২:১৮:২৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৩-২০২৫ ১২:১৮:২৭ পূর্বাহ্ন
সুরমা নদী যেন ভাগাড়
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে সুরমা নদী। বিভিন্ন স্থানে নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে অবাধে। এতে করে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে সুরমা নদী। এতে দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সুনামগঞ্জ শহরের সবজির বাজার এলাকায় নদীর তীরে, লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটে, জেলরোড ও ফেরিঘাটে, জগন্নাথবাড়ি এলাকার নদীর তীরে, সুরমা মার্কেট, মধ্যবাজার এলাকায় নদীর তীরে, চাঁদনীঘাট নদীর তীর ও ফেরিঘাটে, পশ্চিম বাজার নদীর তীর, আরপিননগর, উকিলপাড়া, ষোলঘর এলাকায় নদীর তীরে ময়লার ভাগাড় টিলায় পরিণত হয়েছে। শহরের অসচেতন বাসিন্দারা প্রতিদিন নদীর তীরজুড়ে বাসা বাড়ির ময়লা, হোটেল-রেস্টুরেন্টের ময়লা, সবজি বাজারের ময়লা, মাছ বাজারের, মোরগের বাজারের ও মাংসের বাজারের ময়লা-আবর্জনা, এমনকি কমিউনিটি সেন্টারের ময়লা-আবর্জনা ফেলে দিচ্ছেন। পথচারী আব্দুল ছোবহান বলেন, নদী তীর সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরতে হয়। এসব ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা না হলে পরিবেশ দূষিত হবে। অপর পথচারী সঞ্জিত কুমার দে বলেন, বাসা-বাড়ি ও হোটেল রেস্টুরেন্টের আবর্জনা ফেলায় নদীর পানি ও পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। চারিপাশে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। এগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি যারা আবর্জনা ফেলে সুরমা নদীকে হত্যা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া দরকার। ফেরি যাত্রী শাহজাহান উদ্দিন বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে ফেরিতে উঠলে বমি আসে। পেটের পীড়া দেখা দেয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগুলো প্রতিরোধ করা দরকার। শেখ সুরত আলী বলেন, আবর্জনার দুর্গন্ধ রাস্তায় চললেও নাকে লাগে। কেউ এ নিয়ে ভাবেন না। শিক্ষার্থী, রোগীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ রাস্তায়, ফেরিতে চলাফেরা করেন। এসব ময়লা অপসারণের দাবি আমাদের। ষোলঘর এলাকার বাসিন্দা কবির আহমেদ বলেন, সুরমার তীর আগে অনেক সুন্দর ছিল। কিন্তু স্থানীয় অসচেতন লোকজন নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন আর প্রভাবশালীরা বিভিন্ন কৌশলে নদীর তীর দখল করছেন। এভাবে চলতে থাকলে খুব বেশিদিন সুরমা নদীকে বাঁচানো যাবে না। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আহমেদ নূর বলেন, দেশের অনেক নদী নাব্যতা হারিয়ে বিলুপ্ত প্রায় হয়েছে। আমাদের সুনামগঞ্জের সুরমা নদীতে এখনও আছে স্বচ্ছ পানি। আমরা এই নদীর পানি গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করে আসছি। এই নদীর পানি যাতে নষ্ট বা দূষণ না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে বর্জ্য অপসারণ করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তিনি বলেন, নদীকে সুরক্ষিত রাখতে অবশ্যই সচেতনমহল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। কারণ নদীর কারণে হাজার লক্ষ পরিবার উপকার পাচ্ছে। পৌর নাগরিকসহ সকলে দায়িত্ব নিয়ে আবর্জনা ফেলা প্রতিরোধ করতে হবে এবং নদীকে বাঁচাতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স